বাড়ি (২য় পর্ব)

dhanmondi-32

বাড়ির মালিক দীর্ঘদেহী, গৌড় কান্তি, সদাহাস্যজ্জ্বল, সবাইকে আপন করে নেওয়ার মতো বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। টোবাকো পাইপ টানার দৃশ্যতে একজন আধুনিক ও স্মার্ট মানুষের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। দেশের মানুষের প্রতি রয়েছে তাঁর সীমাহীন বিশ্বাস। এরকম আপাদমস্তক অসাম্প্রদায়িক মনের মানুষ সহসা পাওয়া যায় না।

একটানা খুব বেশিদিন বাসায় থাকে না বললেই চলে বা থাকতে দেওয়া হয় না। মাঝে মাঝে পুলিশ ভ্যান এসে তুলে নিয়ে যায় আবার অনেক অনেকদিন পর জেল খেটে ফিরে আসে। এ পরিস্থিতি বাড়ির লোকজনের অভ্যাস হয়ে গেছে, তদ্রুপ আমারও কারণ আমিতো সবই দেখি। দেখতে পায় ঐ বাড়ির পোষা কুকুর, খরগোশ, গরু, হাস মুরগী আর বাকবাকুম পায়রাগুলো অব্যক্ত বেদনা নিয়ে।

দেখতে দেখতে আমারও কষ্ট লাগে লোকটার ছেলে মেয়েদের জন্য। কয়টা ঈদই বা একসাথে করতে পেরেছে। বাবার স্নেহ মমতা কোথায় আর পেল? বোধহয় সাত কোটি বাঙালীই তাঁর সন্তান। তাই মায়াবী চেহারার ছোট ছেলেটা তিন চাকার বেবি সাইকেল থেকে নেমে রাস্তা পেরিয়ে যেদিন আমার গাছের নিচে এসেছিল আমি সেদিন মমতায় জড়িয়ে তাঁকে ছায়া দিয়েছিলাম, ওর মুখটা এখনো ভুলতে পারিনি আমি। ও যখন মারা গেল বা মেরে ফেলা হলো তখন আমি সত্যিই কেঁদেছিলাম।